প্রচলিত বিদ’আত এবং তা থেকে বাঁচার উপায় (হার্ডকভার)
প্রচলিত বিদ’আত এবং তা থেকে বাঁচার উপায় (হার্ডকভার)
৳ ২০০   ৳ ১৭৬
১২% ছাড়
Quantity  

৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়;  ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER

একাডেমিক বইয়ে প্রতি ১০০০ টাকার অর্ডারে একটি করে খাতা ফ্রি ও ডেলিভারি ফ্রি

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

একটি পরিবারের স্থায়িত্ব, সুখ-শান্তি ও সঠিক বিকাশ যে দু’জনকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়, তারা হল পরিবারের মূল উপাদান স্বামী ও স্ত্রী। যে দু’জন নারী-পুরুষ মিলে নির্ধারিত নিয়মে আইনসম্মতভাবে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পরিবার গঠন করে তারা স্বতন্ত্র পরিবেশে বেড়ে ওঠা দু’টি সত্তা। বিয়ের কারণে তাদের কেউ অন্যজনের অস্তিত্বে বা মতামতে সম্পূর্ণরূপে বিলীন হয়ে যায় না, যাওয়া উচিতও নয়। তাদের উভয়েরই স্বতন্ত্র অবস্থান ও মতামত বিদ্যমান থাকে। এজন্য দরকার হয়। পরস্পরের প্রতি যথাযথ আস্থা-বিশ্বাস ও সম্মান রেখে সমঝােতা ও ঐকমত্য তৈরি করার।  অন্যদিকে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কারণে উভয়েরই দায়-দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়। একজন অন্যজনের কাছ থেকে চাওয়া-পাওয়ার বিষয়টি যেন অন্তহীন হয়ে ওঠে। এসব দায়িত্ব-কর্তব্য শতভাগ পালন করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। ফলে কখনাে কখনাে মতের অমিল, সম্পদের অপর্যাপ্ততা বা আত্মসম্মানবােধ ও মর্যাদার কম-বেশি হওয়ার কারণে পরিবারে অশান্তি ও সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে পড়ে। এছাড়া বিয়ের সুবাদে দুটি পরিবারে আত্মীয়তার সম্পর্ক হওয়ায় উভয় পরিবারের চাওয়া-পাওয়াও এক্ষেত্রে কখনাে কখনাে বাড়তি চাপ তৈরি করে। সন্তানের বিষয়টিও কখনাে কখনাে বৈবাহিক জীবনে বড় ধরনের সংকট তৈরি করে। নবগঠিত পরিবারের সুখ শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার জন্য কখনাে কখনাে দম্পতির পিতা-মাতাকে প্রতিবন্ধক মনে করা হয়; যা কোনভাবেই সঠিক নয়। একান্নবর্তী পরিবারও কিছু সমস্যার কারণ হয়ে থাকে। কারণ যা-ই হােক না কেন দাম্পত্য কলহ বা বিরােধ একটি পারিবারকে অশান্তি, বিশৃঙ্খলা, ভাঙ্গন এমনকি খুন খারাবী পর্যন্ত পৌছে দেয়।  পারিবারিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলাম গ্রন্থে এসব অশান্তির কারণ চিহ্নিত করে এর যৌক্তিক সমাধান মানবিকতা ও ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে খুঁজবার চেষ্টা করা হয়েছে। বৈবাহিক জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অহর্নিশ ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠায় ইসলামী বিধি-বিধান যে কত প্রয়ােজন তারও বর্ণনা রয়েছে এখানে। দাম্পত্য জীবনে স্বাভাবিকতা অব্যাহত রাখতে স্বামী-স্ত্রী দু’জনকেই সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। নিজেদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য নিজেদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে। তবে অবস্থা ও পরিপ্রেক্ষিত অনুযায়ী গৃহীত স্ত্রী বা স্বামীর কাজটি সঠিক ও যথার্থ হচ্ছে কি-না তা নির্ধারণে গ্রন্থটি সহায়তা করবে।

Title : প্রচলিত বিদ’আত এবং তা থেকে বাঁচার উপায়
Author : ড. আবুল কালাম আজাদ (বাশার)
Publisher : আহসান পাবলিকেশন
ISBN : 9789849213662
Edition : 8th Print, 2019
Number of Pages : 120
Country : Bangladesh
Language : Bengali

কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চৌদ্দগ্রাম উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে ১৯৭৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মরহুম মাে: আব্দুল হাকিম ও মাতার নাম শাফিয়া বেগম। তিনি গাছবাড়িয়া গাউছিয়া তৈয়্যবিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় শিক্ষা জীবন শুরু করেন। শুরুতে এ মাদ্রাসার হিফজুল কুরআন বিভাগে কিছুদিন অধ্যয়ন করেন। অতপর এ প্রতিষ্ঠান থেকে ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপ্ত করে ছুপুয়া ছফরিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হন। ছফয়া মাদ্রাসা থেকে ১৯৯৫ ইং সনে দাখিল পাশ করে দেশের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুমিল্লার দেবিদ্বারস্থ ধামতী আলিয়া মাদরাসায় ভর্তি হন। এ মাদ্রাসায় তিনি আলিম, ফাজিল ও কামিল ( হাদীছ ) অধ্যয়ন করেন। অতপর তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে বি, এ অনার্স ও মাস্টার্স সমাপ্ত করেন। তারপর ঢাকা পীরজঙ্গী জামেয়া দ্বীনিয়া থেকে দাওরাহ হাদীছ ও সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা-ঢাকা থেকে কামিল ফিকহ সমাপ্ত করেন। অতপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট থেকে ২০১৩ সনে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। শিক্ষা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি কৃতিত্বের সাক্ষর রাখেন। ক্লাস ওয়ান থেকে দাখিল পর্যন্ত প্রতিটি ক্লাসে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। দাখিল থেকে কামিল, দাওরাহ হাদীছ, অনার্স ও মাস্টার্সহ সকল পরিক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। ফাজিলে বাের্ড মেধা তালিকায় ৩য়, কামিল হাদীছে ৩য়, ফিকহে ৭ম ও অনার্সে ১৬তম স্থান অর্জন করেন। তাঁর লিখিত “মি'রাজ ও আধুনিক বিজ্ঞান”, “প্রচলিত শিরক ও তা থেকে বাঁচার উপায়” এবং “প্রচলিত বিদ'আত ও তা থেকে বাঁচার উপায়” বই তিনটি পাঠক মহলে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিবাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলা সদরের নারায়ণপুর ফাজিল মাদরাসায় আরবী প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ঢাকাস্থ তেজগাঁও মদীনাতুল উলুম কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস হিসেবে কর্মরত আছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি দ্বীনের দাওয়াতি কাজের ময়দানেও সমান ভাবে অবদান রেখে চলেছেন। তিনি পবিত্র হজ্জ, আন্তর্জাতিক সেমিনার ও ব্যক্তিগত সফর উপলক্ষে সৌদি আরব, আমেরিকা, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়া, মিশর, কাতার, শ্রীলঙ্কা, ভারত ও নেপাল ভ্রমণ করেন। পারিবারিক জীবনে তিনি চার ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক। আমরা তাঁর সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ কামনা করছি।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]